জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০০তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস আজ।
১৯২০ সালের আজকের দিনে (১৭ মার্চ) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু।
তাই প্রতিবছর রাষ্ট্রীয়ভাবে দিবসটি জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালিত হয়।
এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এছাড়াও সকালে টুঙ্গিপাড়ায় গিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মহান এ নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি ও সরকারপ্রধান। এবং জাতীয় শিশু দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেন।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক বাণী দিয়েছেন।
বঙ্গবন্ধুর বাবার নাম শেখ লুৎফর রহমান এবং মায়ের নাম সায়েরা খাতুন। তাদের চার কন্যা এবং দুই পুত্রের সংসারে শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন তৃতীয়। কিশোর বয়সেই তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। গোপালগঞ্জের মিশন স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়াকালে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যোগদানের কারণে শেখ মুজিব প্রথমবারের মতো গ্রেপ্তার হয়ে কারাবরণ করেন। সেই থেকে শুরু তার সংগ্রামী জীবনের অভিযাত্রা।
ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন অবসানের পর স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে জয়ের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতায় পরিণত হন তিনি।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে তার ঐতিহাসিক ভাষণটি ইউনেসকো বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়ার আগে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দেন। মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময় বঙ্গবন্ধুকে কারাবন্দী করে রাখা হয়। বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনের পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে আসেন। এরপর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গঠনে মনোনিবেশ করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাত্রিতে সেনাবাহিনীর একদল পথভ্রষ্ট সদস্য সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। সেদিন বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে বিদেশে অবস্থান করায় প্রাণে বেঁচে যান। বঙ্গবন্ধুর বড় মেয়ে শেখ হাসিনা বর্তমানে দেশের প্রধানমন্ত্রী।
Great post.
It’s in reality a great and helpful piece of information.
I am happy that you simply shared this helpful info with us.
Please keep us informed like this. Thanks for sharing.